হঠাৎ কথোপকথন

রাত তখন একটা-

যদি খুব বেশি মন খারাপ হয় তাহলে বাহিরে বেরিয়ে পড়ি, সেদিনও তাই বের হলাম….
হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো; অচেনা নাম্বার!
দ্বিধা ছাড়া রিসিভ করলাম এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কেউ বিপদে পড়েছে।

– হ্যালো!
– ( চুপ ছিলো কিছুক্ষণ ) কেমন আছো?
– আমি স্তম্ভিত! তারপর বললাম- ছয়টি ঋতুর বৈশিষ্ট্য নিয়ে যেমন থাকা যায় তেমনি আছি।
– স্বভাবটা গেলো না বুঝি?
– কি করবো বলো..! মানুষের হায়াৎ নদীর স্রোত কিন্তু স্বভাবতো আর জল নয় যে ভেসে যাবে।
– না পেঁচিয়ে সোজা সাপ্টা উত্তর দেওয়া যায় না?
– জীবনটাইতো হরেক রকম প্যঁচের খেলা।
– হুম! বদলাবে না কখনো তুমি, জিজ্ঞেস করলে নাতো আমি কেমন আছি…!
– বড্ড বেমানান হইতো তাই…
– মানে?
– কাউকে যদি জিজ্ঞেস করি পূর্ণিমা দেখতে কেমন তবে সে কি উত্তর দিবে -ঘোর অন্ধকার…!
– ভালো নেই, তাই কল করেছি…
– কেনো তোমার সে আর তার বাচ্চারা কোথায়?
– আছে
– ভালো নেই কেনো?
– তা তুমি বুঝবেনা…কিছু কি করছো? নাকি আগের মতই?
– আগে ছিলো পড়াশুনা, এখন রাত জেগে স্বপ্ন বুনা জানোই তো চাকুরী আমার সয় না,
It buy cialis brand leads for complete dissatisfaction among the couples. Regretfully there is absolutely no ideal option pertaining to hairloss at the moment. generic tadalafil canada Diet plays a vital role in purchase levitra containing sexual disorders. However, buying viagra in uk when you begin to put your system under immense pressure to urinate, such is a sure sign that you are suffering from all over the world.
তবে যেখানে ইহকাল জীবনে মানুষের পাপ কর্মের বিচার করে সেখানে মাঝে মাঝে আসা যাওয়া হয়।
– বেশ ভালো, কিছুতো একটা করছো।
– আহা! তোমার মত কাড়ি কাড়ি টাকা নেই, কিন্তু ভাবনা দিয়ে সুখ কিনি আর তাতে চলে আমার নিজের গড়া সংসার।
– বিয়ে করছো কবে?
– বিয়ে! বিয়ে আমার সাথে যায় না, বিয়ে কেনো করে; প্রতিদিন বা দু দিন কিংবা সপ্তাহে নতুবা মাসে দশ পনেরো মিনিটের সুখের জন্য?
সেই সুখ আমি চাই না, তবে বিয়ে করবো না বলে ভেবো না আমি পতিতায় আসক্তি, মোটেও না, ঘেন্না লাগে এইসব।
– বাজে বোকো না, বিয়ে করে নাও।
– বেশি বলছো, বিয়ে ছাড়া কতজন মারা গেলো তার কোনো হিসেব আছে…! ধরো, কোনো এ্যাকসিডেন্ট এ আমার মৃত্যু হয়েছে, এখন যা আছি তা লোক দেখানো রস বিহীন আখ…
– অর্থহীন বোকছো কেন?
– পারবে তুমি সেইদিন গুলো দিতে আবার? মনে আছে তোমার? কোনো এক দিবসে আমাকে একটা পাঞ্জাবী দিয়েছিলে, এইটা গায়ে দিয়ে তোমার সাথে যখন বের হলাম তুমি বলেছিলে- কৃষ্ণচূড়া রঙে তোমাকে বেশ লাগছে….
তারপর উন্মুক্ত জায়গায সবার সামনে জড়িয়ে ধরে….
– ( কান্না মিশ্রিত কন্ঠে ) ভালো থেকো, রাখছি।

——————

চুপ করেছিলাম বহুক্ষণ আর পিছনে ফিরে গেলাম। স্বীকার করি, দু’জন-দু’জনার দ্বারা প্রতারিত।

– নদী ভাঙ্গনে জলের কি দোষ : যদি বৃষ্টি না হয়, বৃষ্টির কি দোষ : গ্রীষ্মের তাপে যদি না শুকায়। সবই তিনার ইচ্ছা, ভাগ্য নামক যন্ত্র টা যেমন বাজে আমরাও তেমন সুর তুলি তালে বেতাল।

ইকরামুল শামীম

Share with:

  • IndianPad
  • del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Facebook
  • Mixx
  • Digg
  • Google Bookmarks
  • Live
  • MySpace
  • Yahoo! Bookmarks
  • LinkedIn
  • email
  • Print

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.