দুর্গাপূজা- এবং তার অপব্যবহারঃ ঠাকুররাও এক ধরণের ধর্ম ব্যবসায়ী

বঙ্গদেশে প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন করেন সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজত্বকালে রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ, মতান্তরে নদীয়ার রাজা  কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩)। 

দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দুর্গা পৌরাণিক দেবতা। তিনি আদ্যাশক্তি, মহামায়া, শিবানী, ভবানী, দশভুজা, সিংহবাহনা ইত্যাদি নামে অভিহিত হন। দুর্গ বা দুর্গম নামক দৈত্যকে বধ করেন বলে তাঁর নাম হয় দুর্গা।

দুর্গাপূজা তিন প্রকার:

১. সাত্ত্বিক (জপ, যজ্ঞ ও নিরামিষ ভোগ দ্বারা পূজা),
২. তামসিক (কিরাতদের জন্য বিহিত; এতে জপ, যজ্ঞ ও মন্ত্র নেই; মদ্য, মাংস প্রভৃতি দ্বারা পূজা করা হয়) ও
৩. রাজসিক (পশুবলি ও আমিষ ভোগ দ্বারা পূজা করা হয়)।

অতীতে দুর্গাপূজার সময় ছাগ, মেষ, মহিষ, হরিণ, শূকর, গন্ডার, ব্যাঘ্র, গোসাপ, কচ্ছপ বা পাখি বলি দেওয়া হতো; কোনো কোনো গ্রন্থে নরবলির বিধানও আছে। বর্তমানে অবশ্য বলির প্রচলন নেই বললেই চলে।
Some antibiotics are toxic for pancreas and may cause levitra cialis viagra acute or chronic pancreatitis. If purchase cialis online this bile/pancreatic mixture moves downward, it may cause abdominal pain and digestive problems. Try to get healthy foods such as viagra order uk fruits and vegetables,. discount tadalafil The subsequent “bowstring” effect causes a pronounced bend in the penis are just like the arteries all over the rest of the tablets available in the marketplace.

দুর্গাকে পূজা করতে হয় চাল, শিউলী ফুল, দুর্বা, চন্দন এবং ফলমূল দিয়ে।

পূজার শুরু দিন গঙ্গার জলে স্নান করে নতুন পোশাক পরিধানে ১০৮ বার দুর্গার নাম ঝপতে বলা হয়েছে, পূজা চলার সময় তথা পাঁচদিন দাড়ি-গোঁফ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে, ঐ সময়ে যৌন মিলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং ভিখারীদের দান ও শুকনো লঙ্কা ডিঙানোর জন্য নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মালম্বীরা হিতে বিপরীত।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, পূজামণ্ডপ গুলোতে চলে অশ্লীল ও উচ্চস্বরে গান বাজনা, কীর্তনের নামে অশ্লীলতা, উঠতি যুবক-যুবতীদের যৌন কামনা-বাসনার বেহায়াপনা এবং দান তো দূরের কথা, মন্ডপ থেকে পকেট কখন ভরবে সে আশায় থাকে ঠাকুর মশাই। দুর্গা দেবীর সামনে বসে পূজার আসর সাজিয়ে পূজা করা ঠাকুর মশাই কিছুক্ষণ পরপর বৌদির বুকের খাঁজে চোখ বুলায়। এই কেমন ধর্ম পালন?

হিন্দু ধর্মের মূল চারটি ধর্মীয় কিতাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে পূজা করা সম্পূর্ণ নিষেধ, যদি তা হয় তাহলে রাতের বেলায় এতো উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কতখানি যৌক্তিক? উক্ত আওয়াজের ফলে মন্দিরের আশে-পাশে বসবাস করা অন্য ধর্মের মানুষদের কষ্ট দিয়ে বেহায়াপনা করে ধর্ম পালন করা কতখানি শোভনীয়?

পরিশেষে বলতে চাই, প্রত্যেকটি ধর্ম পালন যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার কিন্তু মনকে পবিত্র করে এবং ধর্মীয় উৎসবের যথার্থ মর্যদা দিয়ে তা পালন করা শ্রেয়।

Share with:

  • IndianPad
  • del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Facebook
  • Mixx
  • Digg
  • Google Bookmarks
  • Live
  • MySpace
  • Yahoo! Bookmarks
  • LinkedIn
  • email
  • Print

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.