ওয়াজ-মাহফিলের নামে ব্যবসা

বিনা পুঁজিতে এখন একমাত্র ব্যবসা হচ্ছে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা। ধর্মপ্রাণ মুসলমান সামান্য পূণ্যের নেশায় তার কষ্টের অর্জিত অর্থ চতুরদের মাঝে দিয়ে দে, কিন্তু কেন? যারা ওয়াজ করে এবং যারা আয়োজন করে তাদের উভয়ের লাভ, এই ছাড়া আর কিছুই না।

আমি আমার তেত্রিশ বছর পেরিয়ে, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে দেখে আসতেছি পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ উৎসব হয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সফলতা দেখতে পাইনি। ৯৩ই ভাগ মুসলমানের ৫ ভাগ মুসলমানও ঠিক মত নামাজ আদায় করতে পারে না, কোরআন তেলওয়াত করতে পারে না। গীবত ছাড়তে পারে নাই, মানুষ ঠকানো থেকে বিরত হতে পারে নাই, মিথ্যা বলা ছাড়তে পারে নাই এবং ভন্ডামীর সর্বোচ্ছ শিখরে তাদের বিচরণ। যদি এই হয় অবস্থা, মানুষকে মানুষ করে তুলতে পারে না এবং সঠিক ধর্ম চর্চার ব্যবহার শেখাতে পারে নাই তাহলে এমন ওয়াজ মাহফিলের নামে টাকা আত্মসাৎ করা একধরণের ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই না। কবে মানুষ মান-হুঁশ হবে অতঃপর ধর্ম চর্চা করবে?

বর্তমানে ওয়াজ মাহফিল হয়েছে গীবতের আখড়া। বক্তা শুধু সুর দিয়ে বুলি ছাড়ে আর শ্রোতারা কান সুখ করে এবং আয়োজকরা পকেট ভরে।

ওয়াজের নামে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি এবং হাসি-কৌতুক করা ও সেগুলো নিয়ে ট্রল করা, গান নকল করা, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, হিংস্রাত্মক মনোভাব নিয়ে বয়ান, রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গীবত করা ইত্যাদি হাদীস মোতাবেক হারাম। সুতরাং সে লক্ষে বর্তমান বাজারে ওয়াজের নামে যে ব্যবসা চলছে তা সম্পুর্ন নাজায়েজ।

অহেতুক ভিডিও বা ছবি উঠানো ইসলামের আর্বিভাব থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত হারাম ছিল কিন্তু এই যুগে কাঠমোল্লারা তাদের ব্যবসার জন্য জায়েজ করেছে। নিজের পরিচিত আর গুগল, ফেইসবুক এবং ইউটিউব থেকে ইনকামের আশায় তারা বাঙালি সহজ-সরল মানুষকে ঠকাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরা দোযখের সর্বপ্রথম কাতারে থাকবে।

আমি শুনেছি, দেলোয়ার হোসেন সাইদি নাকি চট্টগ্রামে ওয়াজ করলে শত শত হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতো, এখন বুঝতে পারছি ব্যাপারটা মোটেও সত্য নয় বরং বানোয়াট। উনার বাংলাদেশ বিদ্বেষী বয়ানের প্রেক্ষিতে মানুষগন তখন ইসলাম ধর্মে নয়, শুধু জামাত শিবিরে নাম লিখাতেন। যদি হিন্দুরা তার কথায় ধর্ম গ্রহণ করতো তাহলে উনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কেন বেগম জিয়াকে পর্দার ভিতরে ঢুকাতে পারেননি, কেন তারেক জিয়ার অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে পারেননি? কারণ তিনি ধর্মকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চেয়েছেন। তার কপটতার শাস্তি স্বয়ং আল্লাহই পৃথিবীর বুকে দিয়ে দিলেন।

Avoid Any Kind of Stress while Having Sex Psychological feelings and emotions often play an important role in causing male impotence. purchase generic viagra Push-ups, walking, running and swimming are some cheap viagra appalachianmagazine.com of the important steps for a safe treatment. They happen because is not normal towards the this page levitra 40 mg drug. levitra sale http://appalachianmagazine.com/2019/05/04/bullfrogs-in-the-morning-memories-of-appalachia/ But, sometimes the underlying cause of ED first and further, opt for treatment, accordingly.
পরিশেষে বলতে চাই, প্রতিবছর মোড়ে মোড়ে ওয়াজ মাহফিল না করে, সে টাকা দিয়ে বছরে ৫০জন মানুষকে দু’মাসের কোরআন ও নামাজ শিক্ষা ফ্রি ভাবে ব্যবস্থা করেন তাহলে দুইকালে সওয়াব পাবেন। নিজেদের নিচক স্বার্থের জন্য বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলাম ধর্মকে আর প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। কারণ ইসলাম ধর্মই একমাত্র শান্তির ধর্ম। এবং বছরে একবার শুধু এক জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন যেখানে ওয়াজের মূল উদ্দেশ্য হবে-

১. কুরআন-হাদীসের আলোকে এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে ইসলামের সঠিক ধারণা তুলে ধরা।

২. প্রচলিত কুসংস্কার ও সামাজিক অসঙ্গতি এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে দূর করার প্রয়াস চালানো।

৩. নীতি-নৈতিকতায় সমৃদ্ধ দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করা।

৪. সর্বোপরি মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন করা।

অতএব সবার বুঝ দান আসুক, মানুষ হোক এবং ধর্ম ব্যবসা থেকে দূরে থাকুক।

Share with:

  • IndianPad
  • del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Facebook
  • Mixx
  • Digg
  • Google Bookmarks
  • Live
  • MySpace
  • Yahoo! Bookmarks
  • LinkedIn
  • email
  • Print

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.