বিএনপি/জামাত হচ্ছে জীনগতভাবে পাকিস্তানি। এইদলগুলো বাংলাদেশের জন্ম চায়নি বলে তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি আর্মির গুপ্তচর হয়ে কৌশলগতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে মার্শাল ল দিয়ে ক্ষমতাগ্রহণের মাধ্যমে ১৫ই আগস্টের খুনিদের সম্মানিত করেন এবং যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের নাগরিকত্ব দিয়ে তিনি পাকিস্তানের একজন গুপ্তচর ছিল তা প্রমান করে দিলেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রী ক্ষমতায় এসে ১৫ই আগস্ট মিথ্যে জন্মদিন পালন আরো একটি পাকিস্তান সমর্থণে বাংলাদেশ বিরোধী বলে আমি মনে করি। কারণ বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ তারা ৭৫’র পর স্বাধীনতা কামী দলকে মিথ্যের বলয় দিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে, মিথ্যার উপর ২০০৮সাল পর্যন্ত টিকে ছিল, এখনো বিভিন্নভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এই জীনগত পাকিস্তানীরাই আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন অস্বীকার করে ব্যাঙ্গার্থক ভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করছেন। কারণ তারা মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানী গোষ্ঠী। তারা বাংলাদেশের ভালো কখন চায়নি। যদি চাইতো তবে বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে স্বপরিবারে খুন হতো না। তারেকের মত কুলাঙ্গারের সৃষ্টি হতো না। বাংলা ভাইসহ জঙ্গি তৎপরতার সৃষ্টি হতো না। দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হতো না।
৭৫’র পর জামাতিরা ধর্মকে পুঁজি করে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে রেখেছিল। যা এখন সুস্পষ্ট। কারণ কওমী মাদ্রাসার কতিপয় আলেম এর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম জামাতীরা প্রকৃত ইসলামকে অনুসরণ করে না। তারা মওদুদী আকীদায় বিশ্বাসী। আর মওদুদী হচ্ছে ধর্ম বিকৃতকারী একজন ভন্ড, ধর্ম ব্যবসায়ী।
প্রমাণ স্বরূপ কয়েকটি মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদার নজীর নিচে উপস্থাপিত হল-
আল্লাহ পাক সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাঊযুবিল্লাহ)
(তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)
ফেরেশতা সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ)
(তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)
সাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন-আমি [সাহাবাদের] তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আমার অনুগত। {সূরা তাওবা-১০০}
অথচ দেখুন মওদুদী সাহেব কিভাবে সাহাবায়ে কিরামকে আক্রমণ করেছেন নোংরা উক্তিতে-
১। “সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”। (তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)
২।) “সাহাবায়ে কিরাম অনেকে মনগড়া হাদিস বর্ণনা করেছেন।”
(তরজমানুল কোরআন ৩৫ সংখ্যা) ঙ/৩)
৩) “সাহাবাদের মধ্যে জাহেলিয়াতের বদ-স্বভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটে।”
(তাফহীমাত ২য় খণ্ড, ১৫৫ পৃষ্ঠা)
৪) “হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”।
(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)
পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্য
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি যেন আপনি (নবী) মানবজাতিকে অন্ধকারের অতল গহবর থেকে উদ্ধার করে আলোর পথ দেখাতে পারেন। সূরা ইবরাহীম, আয়াতঃ ১।
অথচ মওদুদী বলেন- কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” (তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)
মুফাসসিরীনে কেরামের ব্যাখ্যানুযায়ী আলোর পথই হচ্ছে মুক্তির পথ। কে সত্যবাদী? মহান মালিক নাকি মাওদূদী সাহেব?
প্রসঙ্গঃ দ্বীনের আসল উদ্দেশ্য
“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”।
(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)
* ইসলাম বলে, দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি কায়েম করা। ইসলামী হুকমত উক্ত মকছুদ অর্জনে সহায়ক। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।
মওদুদীর আকীদ্বা অনুসরণকারী দেলোয়ার হোসেন সাঈদি নাকি কোরআনের পাখী, জান্নাতের মেহমান! কি তাজ্জব। মওদুদী আকীদায় বিশ্বাসীরা পৃথিবীতে বসে মৃত ব্যক্তিকে জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। যা শিরকের পর্যায় পড়ে যায়। অর্থাৎ আল্লাহকে অস্বীকার করার শামিল। মহান আল্লাহ্ সুুব’হানাহু ওয়া তা’আলা বলেন- “আসমান যমিনে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েবের খবর জানে না।” (সূরা নামল ২৭/৬৫)৷
এইসব ভন্ড, ধর্ম ব্যবসায়ী, স্বাধীনতা বিরোধী জামাতকে বয়কট করে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলামদের রক্ষা করুন।
