মৃত্যুর পরিচয়

পুরুষের একফোঁটা নাজায়েজ জলে
নারীর যৌনাঙ্গ ছেদ করে তোমার আমার জন্ম,
তবুও আমাদের এতো অমিল, এতো অসমতা!

চতুরদিকে এতো বাহাদুর, এতো ক্ষমতাধর দেখতে দেখতে
সৃষ্টিকর্তার প্রতি রাগ হয়।
কেন মানুষের হাতে মানুষ মরে?
কেন অন্যকে ঠকিয়ে প্রাসাদ গড়ে?
কেন নারী রবে শুধু ঘরে?
কেন ধর্ম ব্যবহারে এতো মতবাদ ঝরে?
কেন ধন-দৌলতের সাথে মানুষের মূল্যায়ণ?
কেন সাম্যের হয় না জয়গান?
এসব প্রশ্নের উত্তর বিবেকের খাতায় দিস্তায় দিস্তায় লিখছি
ফলাফল কিন্তু শূণ্য।

যেখানে মিষ্টি বাসী মানুষের মিথ্যা হয় সত্য
সততা পিষে অপমানিত হয় নেতা কিম্বা সমাজপতিদের রোষানলে
সেখানে এসব প্রশ্নের সমাধান বড় কঠিন,
বেঁচে থাকাটাও বড্ড বেমানান।

একিদন চলে যাবো, পৃথিবীর রঙমঞ্চ ছেড়ে
ভাবলে শরীর শিহরে উঠে না আগের মত আর।

গুনীজনরা বলে গিয়েছেন, দেহটা মাটির
হোক না পঁচনশীল মাংসের অপরুপ আকৃতি
একসময়ে পঁচে গলে শুকিয়ে যাবে এ সৌকর্য দেহ
অতঃপর অজানা শত শত পোকামাকড়ের খুদা নিবারণে
কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে। অথবা চিতার আগুনে ভস্ম হবে।
এই ভাবনায় বেঁচে থাকার স্বাদ একদম মাকালফলের মত তিতো।

তবুও পৃথিবীতে জয়ী হওয়ার নেশায়
ধনসম্পদ, ক্ষমতা, রাজত্বের প্রাসাদ গড়তে
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টিতে
মৃত্যু শব্দটির তাৎপর্যকে বাক্সবন্দি করে রেখেছি অমানুষের চিলেকৌঠায়।

বিশ্বাস করো মৃত্যু হবে,
এ বিশ্বাসে, বৈষম্যের কাঁটাতার ছিঁড়ে মানুষ তুমি মানুষ হবে
অতঃপর একটি নতুন পৃথিবীর জন্মে তোমার আমার মৃত্যু,
যে মৃত্যুর স্বাদ ধরণীর সকল স্বাদের চাইতেও বেশি আস্বাদন হবে।

০৯ঃ২০
১০/০৩/২০২২ইং

Share with:

  • IndianPad
  • del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Facebook
  • Mixx
  • Digg
  • Google Bookmarks
  • Live
  • MySpace
  • Yahoo! Bookmarks
  • LinkedIn
  • email
  • Print

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.